কুরবানির গরু কিনতে একটি বিপদ সংকেত! জানুন, জানিয়ে দিন।
গত পরশুদিন গোলামবাজার গেলাম। এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে। ওর বাড়ি ওখানেই। দেখা হলো। ওর সাথে গল্প করতেছিলাম। বললাম, আচ্ছা তোদের এই এলাকার নাম গোলাম বাজার হলো কেনো? এখানে কি গোলাম সমাজ বসবাস করতো কোনো এক সময়? :-p :-)
একটু বে-ঢকের প্রশ্ন শুনে ও প্রথমে চোখ বড় বড় করে তাকালো আমার দিকে। তারপর বললো, ' আরে নাহ! এরকম কোনো ইতিহাস পাইনি। এ নামকরণের কারণ আমি ঠিক জানিনা। '
দুজনে রাস্তায় হাটছিলাম। আচমকা দেখলাম এক গরু ঘোরার স্টাইলে আমাদের সম্মুখদিক থেকে দৌড়ে আসছে। দুজনে দাড়ালাম। ষাঁড় গরু, বেশ মোটাতাজা। দৌড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে গ্রামের খেটে খাওয়া শক্তি সামর্থ্য ষাঁড় গরু।
কিন্তু কৌতুহল জাগলো গরুটা দৌড়াচ্ছে কেনো? দুই বন্ধু এমনটা বলাবলি করছি, ঠিক এমন সময় দেখলাম আর এক দৌড়ের প্রতিযোগিতা। এবারে দেখলাম, একজনের পিছনে আরেকজন দৌড়াচ্ছে আর ডাকছে। এই হাম্বা! ' র, র, থাম, থাম,।' ( গ্রামীন ডাক)
সবার সামনে গরুর দৌড়। তারপরেই যে ভাইটি দৌড়াচ্ছিল, তিনিও কম যান না, খুবই গতিময় ভো দৌড়। পিছন থেকে গরুর লেজুড় ধরে ফেললেন। যেইনা গরুর লেজুড় ধরলেন ঐ ভাইটি, অমনি দেখলাম এক ভয়ংকর সার্কাস। ষাঁড় গরুটা দেখলাম একটা লাফ দিলো আর ভাইটা ছিটকে পড়ে গেলো পিচ রাস্তায়। কয়েকবার উলটপালট খেলো।
এরপর পিছনে দৌড়াতে থাকা অন্য লোকগুলো ঐ পড়ে থাকা ভাইটিকে অতিক্রম করে দৌড়াতে লাগলো। এরপরের দৌড়ের প্রতিযোগিতা আমাদের চোখের অন্তরালে চলে গেলো। রাস্তায় পরে থাকা ভাইটার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, খুব বেশি ব্যথা পেয়েছে নাকি। বললো, না ভাই বেশি ব্যথা পাইনি। তবে গরুটার জন্য খুব খারাপ লাগছে।
পরে জানতে পারলাম, তিনি গরুর হাটে এই ষাঁড় গরুটা বিক্রয়ের জন্য নিয়ে এসেছেন। তারপর বিক্রয়ের সময় হাত ফসকে হঠাত গরুটা দৌড় মারে। এরপর তারাও ওটার পিছন পিছন দৌড়াচ্ছিল।
যাইহোক, পরে ষাঁড় গরুটা ধরতে পেরেছেন দৌড়াতে থাকা গরুর সামনে থাকা কিছু মানুষের সহযোগিতায়।
ঘটনাটি ঘটলো একেবারে আমার চোখের সামনে! গরুটা বোধহয় কোরবানিতে কিছুতেই কুরবানী হতে চায়না :-)
অথবা কুরবানী হওয়ার মত সঠিক মানুষ পায় নাই। নয়ত বিক্রয়ের ফলে যার হাতে বদল হতে যাচ্ছিল, তাকে বোধহয় পছন্দ হয়নি গরুটার। :D
তাই ভালোই ভুগিয়েছে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কেই।
No comments